এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে পবিত্র মসজিদুল হারাম পরিচালনাকারী জেনারেল প্রেসিডেন্সি বিভাগ।
করোনাকালের পর থেকে পবিত্র কাবাঘর প্রাঙ্গণে প্রবেশ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল। সেখানে শুধু ওমরাহ পালনকারীরা প্রবেশ করতে পারতেন। সেখানে কেউ সাধারণভাবে তাওয়াফ করতে চাইলে প্রবেশ করতে পারতেন না।
আর নতুন নির্দেশনামতে এখন আর মুসল্লিরা কাবাঘরের সামনে গিয়ে নামাজ পড়তে পারবেন না। আসন্ন রমজান মাসে ওমরাহযাত্রীর উপচে পড়া ভিড় নিয়ন্ত্রণে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে অনেকে।
এদিকে পবিত্র মসজিদুল হারামে দুজন এবং মসজিদে নববীতে একজন ইমামকে পুনরায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন ড. ইয়াসির বিন রাশিদ আল-দাওসারি, ড. খালিদ বিন সুলাইমান আল-মুহান্না ও ড. আহমদ বিন আলী আল-হুজায়ফি।
গত ৬ মার্চ পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। এর আগে উভয় মসজিদের ধর্মবিষয়ক প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল সুদাইস রমজানসংশ্লিষ্ট কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি উভয় মসজিদের তারাবি ও তাহাজ্জুদ নামাজের ইমাম হিসেবে আটজনের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। তা ছাড়া পবিত্র মসজিদুল হারামে তারাবি ও তাহাজ্জুদ নামাজে ইমাম হিসেবে আরো থাকবেন শায়খ ড. আল-ওয়ালিদ বিন খালিদ আল-শিমসান ও শায়খ বদর বিন মুহাম্মদ আল-তুর্কি। আর মসজিদে নববীতে তারাবি ও তাহাজ্জুদের ইমাম হিসেবে থাকবেন শায়খ ড. মুহাম্মদ বিন আহমদ বারহাজি ও শায়খ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুল মুহসিন আল-কারাফি।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১১ মার্চ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পবিত্র রমজান শুরু হবে। এ মাসে বিশ্বের অসংখ্য মুসলিম ওমরাহ পালন করেন। গত বছর এক কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন। এ বছর দুই কোটিরও বেশি ওমরাহযাত্রীর আশা করছে সৌদি আরব।
সূত্র : গালফ নিউজ