IQNA

খুবই গুরুত্বপূর্ণ খবর : ৪ জৈষ্ঠ্য ইসরাইলী কমান্ডার 

হামাসকে পরাজিত কিংবা ইসরাইলী বন্দীদের উদ্ধার কোনোটাই সম্ভব নয়

13:25 - January 22, 2024
সংবাদ: 3474990
"হামাসকে পরাজিত কিংবা ইসরাইলী বন্দীদের উদ্ধার কোনোটাই সম্ভব নয় । " : ৪ জৈষ্ঠ্য ইসরাইলী কমান্ডার ( নিউ ইয়র্ক টাইমস, ২১-১-২০২৪ ) এ খবর সংক্রান্ত কিছু কথা :

তাহলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এ প্রতিবেদন থেকে বোঝা গেল যে ইসরাইলী সেনাবাহিনী প্রায় দুই লাখ সৈন্য ও অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র নিয়ে এবং ৭০০০০ - ৮০০০০ টন বোমা ফেলে ২৫০০০ এর অধিক গাযাবাসী যাদের ৭০% শিশু ও নারী তাদের হত্যা , ৬২০০০ এর অধিককে আহত , ১•৯ মিলিয়নের অধিক গাযাবাসীকে শরণার্থীতে পরিণত এবং গাযার সার্বিক অবকাঠামো ধ্বংস করে গাযায় তিন মাসের অধিক কাল যুদ্ধ ও আগ্রাসন চালিয়েও গাযার কোনো উল্লেখ যোগ্য শহর , অঞ্চল ও পয়েন্ট দখল করতে পারছে না কেবল গাযার উত্তরাঞ্চলের কিছু অংশে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা ব্যতীত তাও পুরো উত্তরাঞ্চলও পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি এবং পারছেও না ইসরাইলী সেনাবাহিনী। আর গাযার মধ্য ও দক্ষিণ অংশ দখলে ও নিয়ন্ত্রণে আনা ও রাখার প্রশ্নই উঠে না এবং সেই সাথে ইসরাইলী যুদ্ধবন্দীদের উদ্ধার করতেও সক্ষম হচ্ছে না ইসরাইল এবং তা পারবেও না ইসরাইল আর কোনো দিন । কারণ ওই ইসরাইলী কমান্ডাররা জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস কে যে  হামাসের সাথে গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ যুদ্ধ শুরুর পর যুদ্ধের যে গতি ছিল সেটি পরবর্তীতে ধরে রাখা যায় নি ( অর্থাৎ ধরে রাখা সম্ভব হয় নি বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম সেনাবাহিনী বলে খ্যাত ইসরাইলী সেনাবাহিনীর পক্ষে । ) ও সব ইসরাইলী কমান্ডাররা সাক্ষাৎকারে বলেছে যে হামাসের সাথে লড়াই করতে গিয়ে ইসরাইলী সেনাবাহিনী অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। ইসরাইলী রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে সিদ্ধান্তহীনতা থাকায় কৌশলগত জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
অতএব ঐ ৪ জৈষ্ঠ্য ইসরাইলী কমান্ডারের বক্তব্য অনুযায়ী যুদ্ধে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ,যুরা (যুক্তরাজ্য) ও পশ্চিমা দেশগুলোর সার্বিক ও সর্বাত্মক সামরিক আর্থিক রাজনৈতিক কূটনৈতিক সাহায্য, সহযোগিতা ও সমর্থন পুষ্ট হয়েও ইসরাইলী সেনাবাহিনী ভালো অবস্থায় নেই এবং সফল হচ্ছে না অথচ ইসরাইল গাযায় সব ধরণের যুদ্ধাপরাধ করতে মোটেও দ্বিধা করে নি এবং লাগাতার তিন মাসের অধিক কাল ধরে আগ্রাসন , গণহত্যা , প্রজন্ম হত্যা , শিশু ও নারী হত্যা , বেসামরিক জনগণ হত্যা ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ সহ সব ধরনের যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেই যাচ্ছে ।
আর মাযুরা , যুরা ও পাশ্চাত্য ( পশ্চাৎ দেশ বলাই শ্রেয় ) অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েও বদমাইশ সন্ত্রাসবাদী জঙ্গী সাম্প্রদায়িক উন্মাদ মেকি কৃত্রিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে সকল ধরনের অপরাধ করার সুযোগ , সমর্থন ও সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসলে ইসরাইলের ওসব অপরাধের ভাগী ও দোসর হওয়ায় এক সমান অপরাধী। ইসরাইল যুদ্ধে তার ঘোষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহের কোনো একটিও অর্জন করতে পারে নি এবং  তা কখনো পারবেও না । আর এ বিষয়ের সমর্থন মেলে সর্বাধিক ও বহুল প্রচারিত ইসরাইলী দৈনিক ইয়েদিঔত আহারোনৌতের বক্তব্যও ঠিক এটাই :
The Israeli army was unable to achieve the goals of the war , despite spending 60 billion dollars.
" ৬০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা সত্ত্বেও ইসরাইলী সেনাবাহিনী যুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সমূহ অর্জন করতে অপারগ। "
অথচ ১৯৬৭ সালের ৬ দিনের আরব - ইসরাইল যুদ্ধে  ইসরাইল মিসরের হাত থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টায় এই গাযা ভূখণ্ড জবর দখল করতে সক্ষম হয়েছিল !!!!
সকল আশা , দুরাশা ও লক্ষ্য - উদ্দেশ্য নিয়ে মেকি কৃত্রিম সন্ত্রাসী , চরম বর্ণবাদী, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের হোতা ও জননী ও চরম অপরাধী এই ইসরাইল অচিরেই গোরে ( কবরে ) যাবে ইনশাআল্লাহ । 
ইসরাইল নিপাত যাক ,
ইসরাইল মুর্দা বাদ 
মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও পাশ্চাত্য ( পশ্চাৎ দেশ ) নিপাত যাক , মুর্দা বাদ ( মৃত্যু হোক ) ।
ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন ও রক্ষাকারী আরব ও মুসলিম দেশ ও রাষ্ট্র গুলোর মুখেও চুনকালি পড়ুক এবং ইসরাইলের সাথে এ সব রাষ্ট্রও ডুবে যাক তাদের মুরোদ , হিম্মৎ , সৎ সাহস ও বীরত্ব না থাকার কারণে ।
এ সব দেশ ও রাষ্ট্রের উচিত ছিল ইসরাইলের সাথে তাদের সকল কূটনৈতিক , বাণিজ্যিক , সাংস্কৃতিক এমনকি সামরিক সম্পর্ক বাতিল করে গাযাবাসীদের কাছে পর্যাপ্ত  খাদ্য , পানি , ওষুধ , জ্বালানি ও জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় সাজ সরঞ্জাম সরবরাহ নিশ্চিত করা । আর তা না করার কারণে এ গুলো হচ্ছে চরম মুনাফিক ও খায়েন ( বিশ্বাসঘাতক ) । এ  খিয়ানত ও মুনাফিকীর জন্যই এত দিন ( ৭৬ বছর ) ধরে এই মেকি কৃত্রিম চরম বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক , সন্ত্রাসী ও সন্ত্রাসবাদী এ রাষ্ট্রটি মুসলিম বিশ্বের প্রাণকেন্দ্র ফিলিস্তীনে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) , যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ও পাশ্চাত্যের সামরিক ( ও জঙ্গী আগ্রাসনের ) ঘাঁটি হয়ে টিকে আছে । তবে সময় এসে গেছে এ কৃত্রিম মেকি অপরাধী চরম বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটির পতনের । তা আর বেশি দূরে নয় ।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

 

captcha