এ সময় তাদেরকে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায়। আজকের বিক্ষোভকারীরা ইরানের সহিংসতা উসকে দেওয়ার জন্য আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলসহ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে দায়ী করেন। তারা 'ইসরাইল ধ্বংস হোক' ও 'আমেরিকা নিপাত যাক' লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ও পরে রাজধানী তেহরানসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পুলিশ হেফাজতে একজন নারীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যারা দেশজুড়ে সহিংসতা ও নাশকতা চালাচ্ছে এবং মসজিদসহ পবিত্র স্থানে হামলা চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন তারা।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, মাহসা আমিনির মৃত্যু দুঃখজনক। কিন্তু এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে যেসব কর্মকাণ্ড করা হচ্ছে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। তারা পশ্চিমা গণমাধ্যমের উসকানিমূলক তৎপরতার কঠোর নিন্দা জানান।
গতকালের বিক্ষোভকারীদের অনেকের হাতে শহীদদের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও ছিল। এসব শহীদের কেউ কেউ ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের সময় তৎকালীন স্বৈরশাসকের পেটোয়া বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন।
গতকাল তেহরানের বিক্ষোভকারীরা জানান, মাহসা আমিনির মৃত্যুকে অজুহাত করে গত কয়েক দিনে ইরানে হিজাবধারী নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ইমাম হুসাইন (আ.)'র নাম লেখা ঝাণ্ডার অবমাননা করা হয়েছে। মসজিদ ও মাজারে আগুন দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদেই আজ আমরা রাস্তায় নেমে এসেছি। পার্সটুডে