অরগানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন বা ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তান প্রস্তাবটি পেশ করেছিল। দিবসটির জন্য সেই দিনটিকে চিহ্নিত করা হয়, যেদিনে একজন বন্দুকধারী নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করেছিল।
আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে জাতিসংঘে পাকিস্তানের দূত মুনির আকরাম বলেছেন, ইসলামফোবিয়া এখন একটি বাস্তবতা হয়ে উঠেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ছে। মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণাত্মক বক্তব্য, বৈষম্য এবং সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। মুসলিম ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের প্রতি এ ধরনের বৈষম্য, শত্রুতা ও সহিংসতা তাদের মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন এবং তাদের ধর্ম ও বিশ্বাসের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে।
মুনির আকরাম আরো বলেন, ৯/১১ সন্ত্রাসী মহালার পর থেকে প্রাতিষ্ঠানিক সন্দেহ, মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস ও ভয় মহামারির আকারে বেড়েছে। এর ফলে মুসলিমরা প্রায়শই নেতিবাচক অনুভূতি বহন করতে থাকে।
পাকিস্তানের এই দূত বলেন, অফলাইন ও অনলাইন উভয় ক্ষেত্রেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসলামোফোবিয়ার লিঙ্গগত দিকটিও প্রাধান্য পাচ্ছে, মুসলিম নারীরা তাদের পোশাকের কারণে নিপীড়িত হচ্ছে। কিছু দেশে অভিবাসনবিরোধী ও শরণার্থীবিরোধী বক্তব্য একটি মুসলিম বিরোধিতায় রূপ নিয়েছে।
এদিকে, জাতিসংঘ ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে মনোনীত করে প্রস্তাব গ্রহণ করায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুসলিম বিশ্বকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, মুসলিম উম্মাহকে অভিনন্দন জানাতে চাই, কারণ ইসলামফোবিয়ার ক্রমবর্ধমান জোয়ারের বিরুদ্ধে আমাদের কণ্ঠস্বর শোনা গেছে। জাতিসংঘ ওআইসির পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রবর্তিত একটি যুগান্তকারী প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ১৫ মার্চকে ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে মনোনীত করেছে। iqna