আজ সকালে, ইহুদিবাদী বাহিনী নাবলুস শহরের পুরানো অংশে আক্রমণ করেছে এবং একটি বাড়ি ঘেরাও করেছে এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া তিনজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।
নাবলুসে ইহুদিবাদী হামলার ফলে ফিলিস্তিনি যুবকদের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় ফিলিস্তিনি যুবকরা পাথর ছুড়ে দখলদার সৈন্যদের তাদের শহর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে এবং ফলস্বরূপ, এই যুবকদের মধ্যে ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়।
এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের সাম্প্রতিক আগ্রাসনের সময় প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে অন্তত ৬০ ইহুদিবাদী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইসরাইলের আসকালন অঞ্চলের বেরেজিলা হাসপাতাল সূত্র এ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে।
গত শুক্রবার গাজায় হঠাৎ করে ইসরাইলি বিমান হামলা শুরু হলে ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট নিক্ষেপ করে। কিন্তু এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরাইলের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা প্রকাশ করেনি তেল আবিব।
তবে ইসরাইলে বসবাসরত ইহুদিবাদী অভিবাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতির ছবি প্রকাশ করেছে। এতে ইসরাইলিদের বিভিন্ন কারখানায় আগুন লেগে যাওয়ার পাশাপাশি গাজা সীমান্ত থেকে ইহুদিবাদী সেনাদের পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।
বর্ণবাদী ইসরাইলি সেনারা গত শুক্রবার গাজা উপত্যকার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলা শুরু করে। তিনদিন ধরে চলা এ পাশবিক হামলায় ১৫ শিশু ও দুই নারীসহ ৪৪ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৩৬০ জন আহত হন। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন গাজা থেকে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে কয়েকশ’ রকেট নিক্ষেপ করে। প্রতিরোধ সংগ্রামীরা বিশেষ করে রাজধানী তেল আবিব ও সেখানকার বেন গুরিয়ান বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছেন। বিভিন্ন ইসরাইলি সূত্র জানিয়েছে, গাজা থেকে গত তিন দিনে অন্তত ৭০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছোড়া হয়েছে। 4077097