গত মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এ ঘটনার পরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পুড়ে যাওয়া ১১ জনের দেহাবশেষের ভয়াবহ অবস্থা। ধারণা করা হচ্ছে, হতভাগ্যদের অনেকেই কম বয়সী।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ডান তাউ গ্রামে এর আগেও তাণ্ডব চালিয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, গ্রামে প্রবেশের পর একের পর একজনকে গুলি করে সেনাবাহিনী। তারা যখন আহতদের শরীরে আগুন দেয়, তখনো বেশ কয়েকজন জীবিত ছিলেন।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে যে জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) গঠিত হয়েছিল, জানা গেছে, তারা নিহত ১১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এনইউজি দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জনই কিশোর। তাদের সবাইকে জীবিত অবস্থায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বার্মিজ সেনাবাহিনী।
যদিও ভয়াবহ এ ঘটনায় এখনো জান্তা সরকার মুখ খোলেনি। ওই এলাকায় কাজ করা একজন স্বেচ্ছাসেবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, গত মঙ্গলবার সকালে সেনা সদস্যরা ওই গ্রামে যান। সকাল ১১টার দিকে তারা হত্যাকাণ্ড চালান।
হত্যাকাণ্ডের শিকার হিতেত কো নামে একজনের পরিবারের সদস্য বলেছেন, হিতেত বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতেন। কোনো মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্যও ছিলেন না। এটা ভীষণই অমানবিক যে সাধারণ নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করল সেনাবাহিনী।
সূত্র : রয়টার্স।