বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: সুতরাং ইমাম মাহদীর কাজ ও তার পরিচিতি সম্পর্কে জানা হচ্ছে আমাদের প্রথম দায়িত্ব। কোন কোন কাজ তিনি নিজে করবেন এবং কি কাজ করলে তিনি সন্তুষ্ট হবেন সেট আমাদের জানতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, মানুষ মৃত্যু, বেহেশত জাহান্নাম ইত্যাদি সম্পর্কে জানে কিন্তু সেটার প্রতি গুরত্ব দেয় না। কিন্তু আগুনের ভয়বতার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখে বলেই তারা কিন্তু কখনোই আগুনে হাত দেয় না।
আমরা বিশ্বাস করি ইমাম মাহদী আছেন, আমাদের সকল কাজকর্শ তিনি দেখেন এবং তার নিকট আমাদের আমলনামা বা ফাইল পাঠানো হয়, কিন্তু যেহেতু তার প্রতি গুরুত্ব দেই না সেই জন্য আমরা বার বার গোনাহ করি।সুতরাং যে দিন তার প্রতি আমাদের বিশ্বাস দৃঢ় হবে তখণই আমরা বাস্তবে ইমাম মাহদীর অনুসারী হতে পারব।
যেমনটি আল্লাহর ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে সবাই আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, তার প্রতি বিশ্বাস রাখে কিন্তু যতদিন তারা এর প্রতি গুরুত্ব না দিবে তত দিন তাদের কোন কাজে আসবে না। যেমন যখন পরীক্ষা হয় যাদের পরীক্ষঅ আছে তারা্ই কেবল মাথা ঘামায় আর যাদের পরীক্ষঅ ন্ তাদের কিছু যায় আসে না।
অনুরপভাবে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, নবীল প্রতি ঈমান রাখে এবং ইমামদের প্রতি ঈমান রাখে অথচ বলে তাদের দিয়ে আমার কোন কাজ নেই এই ঈমান তার কোন কাজে আসবে না।
অতএব আমাদেরকে খাটি মুসলমান হতে গেলে অবশ্যই সর্বদা আল্লাহ ও অঅহলে বাইতর প্রতি ঈমান রাখতে হবে। শুধু রমজান মাসে মাসে মুসলমান বা শুক্রবারে মুসলমান হলে চলবে না। অথবা শুধু মুহাররাম মাসে মুসলমান হলে চলবে না বরং সর্বদা আমাদেরকে আল্লাহর জন্য নিবেদিত হতে হবে।