বার্তা সংস্থা ইকনা: জেরুজালেম নগরী বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান। সকল ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ এই নগরীকে শ্রদ্ধা করে থাকেন। এক হাদীসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন "বায়তুল মোকাদ্দাসে এক রাকাত নামাজ পড়লে পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাজের সওয়াব হয়।" কিন্তু আফসোসের কথা হচ্ছে মুসলমানরা আজ সেই সওয়াব থেকে বঞ্চিত।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম খোমেনি (রহ.) ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নজির বিহীন সাফল্যের পর পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবারকে বিশ্ব আলকুদস দিবস হিসেবে পালন করার আহবান জানিয়ে ছিলেন৷ তার সে আহবানে সাড়া দিয়ে বিশ্ববাসী বিশেষ করে মুসলমানরা প্রতিবছর এ দিনটি বিশ্ব কুদস দিবস উপলক্ষে উদযাপন করে আসছে৷
ইহুদীবাদী ইসরাইল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে মুসলিম বিশ্বের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকী তা ইমাম খোমেনী (রহ.) দুই যুগ আগেই বলে ছিলেন এবং একথা আজও প্রমাণিত৷ আমেরিকা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয় গোটা বিশ্ব মানবতার শত্রু৷ তারা বিনা বিচারে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় আগ্রাসন চালাচ্ছে।
বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান থাকা সত্ত্বে গুটি কয়েক ইহুদী বাইতুল মোকাদ্দাস দখল করে রেখেছে৷ একমাত্র মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্যের জন্যই আজ বিশ্বে মুসলমানরা নির্যাতিত৷ মুসলমানদের মধ্যে ঐক্যই পারে তাদের হারানো ঐতিহ্য ও বাইতুল মোকাদ্দাসকে ইহুদীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে৷
তাই ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর ডাকে প্রতি রমযানের শেষ শুক্রবার বিশ্ব কুদস দিবসে বিশ্বের সকল মুসলমান এই দিনটিতে নিজেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় প্রেরণা হিসেবে মনে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মান মর্যাদা কেবল ফিলিস্তিনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এটা মানবজাতি ও বিশ্ববাসীর মান মর্যাদার বিষয়৷
ইঙ্গ-মার্কিন মদদপুষ্ট ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক নির্যাতন এবং কিছু কিছু আরব দেশের অসহযোগিতার কারণে ফিলিস্তিনিরা বর্তমান শতাব্দীতে বিশ্বের সবচেয়ে মজলুম জাতিতে পরিণত হয়েছে ৷ আমেরিকা এ পর্যন্ত ইসরাইল বিরোধী ৫০টি প্রস্তাবে ভেটো প্রদান করেছে ৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অর্ধেকের বেশি প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দিয়েছে যার অধিকাংশ প্রস্তাবই ছিলো ফিলিস্তিন সম্পর্কিত৷ শরণার্থীদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে জাতিসংঘের ইশতেহারের প্রতি কর্ণপাত না করে মূলত এ সংস্থাকে হাসির পাত্রে পরিণত করেছে।