বার্তা সংস্থা ইকনা: গাল্ফ নিউজ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই মসজিদের নাম দেয়া হচ্ছে মরিয়ম, উম ইসা। চেরিয়ান লক্ষ্য করেন ট্যাক্সি চেপে কাছাকাছি মসজিদে যেতে হয় কর্মীদের। শুক্রবারে নামাজের জন্য তাদের খরচ হয় ২০ সৌদি মুদ্রা। তা দেখেই মসজিদ তৈরির কথা মাথায় আসে তার। তাই কর্মীরা যেখানে থাকে, তার পাশেই তৈরি করা হয়েছে মসজিদ।
২০০৩ সালে আরব আমিরশাহীতে যান ওই ব্যবসায়ী। সামান্য টাকা ছিল কাছে। আর আজ তিনি প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিয়ে তৈরি ওই মসজিদ উপহার দিলেন কর্মীদের। একসঙ্গে অন্তত ২৫০ জন নামাজ পড়তে পারবে সেই মসজিদে। আর মসজিদের ঘেরা বাগানে নামাজ পড়তে পারবে আরও ৭০০ জন। বছর খানেক আগে মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি মাসে মসজিদ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
চেরিবান বলেন, ‘আমি একজন খ্রিষ্টান হয়েও মসজিদ তৈরি করেছি জেনে খুশি প্রশাসন। মসজিদে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।’
খ্রিষ্টান পরিবারে বড় হয়েছেন চেরিয়ান। এর আগে একটি চার্চও তৈরি করেছেন তিনি। কিন্তু তিনি কখনই একজন মানুষকে ধর্ম, জাত দিয়ে বিচার করতে চান না। আরব আমিরশাহীতেও সেই সম্প্রীতির নজির রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। এমটিনিউজ