বার্তা সংস্থা ইকনা: বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী শহর তিমরবলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রায় ৪০০টি বাড়ি ছিল। গতবছর আগস্ট মাসে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চরমপন্থি বৌদ্ধরা প্রায় ৩০০টি বাড়িতে আগুন জালিয়ে ধ্বংস করেছে। এখন বাকী ১০০ ঘরেও আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় যে, আগুন লাগার ফলে একের পর এক বাড়িঘর ধ্বংস হচ্ছে। এমতাবস্থায় বোঝা যাচ্ছে যে, হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি অতি শীঘ্রই ধ্বংস করেছে দুর্বৃত্তরা।
অসহায় রোহিঙ্গা মুসলমানেরা এই হামলার জন্য চরমপন্থি বৌদ্ধদের দায়ী করেছে। তারা স্থানী প্রশাসনের সহযোগিতায় এধরণের জঘন্য কাজ করেছে। এর পূর্বেও চরমপন্থি বৌদ্ধ বেশ কয়েকবার এধরণের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে।
উল্লেখ, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে স্যাটেলাইট থেকে সংগৃহীত ছবি বিশ্লেষণ করে ঘোষণা করেছে, বিগত দুই মাস ঘরে রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তর্গত ৪০ গ্রামে আগুন জালানো হয়েছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে চরমপন্থি বৌদ্ধ এবং মিয়ানমারের সেনাবাহিনী পাশবিক হামলার ফলে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত এবং প্রায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার মুসলমান প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।