বার্তা সংস্থা ইকনা: স্বল্প সংখ্যক ইসলাম বিদ্বেষীদের এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করার জন্য তারা ছুটির দিনটি বেছে নিয়েছে। স্বল্প সংখ্যক বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রুবেন ইস্রায়েল যে নিজেকে খ্রিস্টানদের রাস্তার মুবাল্লিগ বলে পরিচয় করিয়েছে, বলে: একটা মসজিদ এখানে থকবে, আর আমরা ঐ মসজিদের বিরুদ্ধে কিছুই করব না?
ইস্রায়েল লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে ফিনিক্স এসে মসজিদ ও মুসলমানদের ইসলামী কেন্দ্রের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
ইস্রায়েল আরো বলে: ট্রাম্প যখন নির্বাচনে জয়ী হবে, তখন অপরাধীদের এই ভবনটিকে (মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র) সুপার মার্কেটে পরিণত করব।
অপর এক বিক্ষোভকারী ইডেন রুসফেল্ট বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় বলে: বর্তমানে আমেরিকায় ইসলাম ধর্মের সময় শেষ হয়ে গেছে।
রবিবার হওয়ার কারণে ইসলামিক কেন্দ্র বন্ধ ছিল এবং মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্রের কোন কর্মীই ঘনটাস্থালে উপস্থিত ছিল না। তবে বিক্ষোভকারীদের হট্টগোল প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বাহিরে আসেন। 12 নিউজের এক সাংবাদিক বলেছেন: বিক্ষোভকারীদের হট্টগোলের কারণের এলাকার লোক ক্লান্ত হয়ে পরেছে।
বিগত এক বছরে উক্ত ইসলামিক সেন্টারের সম্মুখে ইসলাম বিদ্বেষীরা বহুবার বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
মসজিদের প্রতিবেশী এক ব্যক্তি বলেন: বিক্ষোভকারীদের এধরণের কাজ শুধুমাত্র ঘৃণা প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়।
যখন ইস্রায়েলকে প্রশ্ন করা হল যে, মসজিদ বন্ধ করার জন্য কেন বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হচ্ছে? প্রশ্নের উত্তরে সে বলে: আমরা জনগণকে তাদের বিশ্বাস প্রকাশের জন্য উৎসাহিত করি। ইস্রায়েল অভদ্রতার সাথে ঐশী গ্রন্থ পবিত্র কুরআনের পৃষ্ঠা ছেড়ার সময় বলে: আমরা তাদেরকে বাক স্বাধীনতা শেখাতে চাই। এটা আমাদের অভিব্যক্তি স্বাধীনতা। আমরা ইচ্ছা করলে কুরআন হাতে নিয়ে, তা ছিন্ন করতে পারি। আমরা পারি!
ঐ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে বেশ কয়েক জন পুলিশ অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
iqna