IQNA

ইউরোপিয়ান শিয়া ওলামা পরিষদের প্রধান:

পিতা-মাতার প্রতি ভালোবাসার গুরুত্ব + ভিডিও

0:01 - June 25, 2021
সংবাদ: 2613015
তেহরান (ইকনা): হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়্যেদ আলী রেজা রাজাভি বলেছেন: সন্তানের ভক্তি ও ভালোবাসা তার পিতা-মাতার প্রাপ্য। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে আদেশ করা হয়েছে যে, আপনি আপনার পিতামাতার প্রতি সদয় হন।

ব্রিটিশ ইসলামিক সেন্টার এবং লন্ডনে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ব্রডকাস্টিং অফিসের পক্ষ থেকে “কুরআনী জীবনধারা” শিরোনামে ধারাবাহিক আলোচনায় ইউরোপিয়ান শিয়া ওলামা পরিষদের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়্যেদ আলী রেজা রাজাভি বলেছেন: আমাদের জীবন জুড়ে যাদের উপর সর্বাধিক অধিকার রয়েছে তারা হলেন আমাদের পিতা-মাতা। তারা আমাদের প্রয়োজন মেটাত সারা জীবন জুড়ে আত্মত্যাগ করে গিয়েছেন। আর এ কারণেই তাদের প্রতি সদয় হতে হবে এবং তাদেরকে ভালবাসতে হবে।

হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন সাইয়্যেদ আলী রেজা রাজাভি বক্তব্যটি নীচে তুলে ধরা হল:

অসীম দয়াময় ও অনন্ত করুণাময় আল্লাহর নামে

وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ

আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। সূরা আহক্বাফ, আয়াত ১৫

আমাদের জীবন জুড়ে যাদের উপর সর্বাধিক অধিকার রয়েছে তারা হলেন আমাদের পিতা-মাতা।

আমাদের প্রয়োজন যেমন পোশাক, খাবার, আশ্রয় এবং শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সমস্ত কিছুর জন্য পিতা-মাতা আত্মত্যাগ করেন।

সন্তানের ভক্তি ও ভালোবাসা তার পিতা-মাতার প্রাপ্য। পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্টভাবে আদেশ করা হয়েছে যে, আপনি আপনার পিতামাতার প্রতি সদয় হন।

বাচ্চাদের যখন ভালবাসার প্রয়োজন হয়, তখন বাবা-মা শিশুকে ভালবাসেন, কিন্তু যখন বাবা-মা বৃদ্ধ হয়ে যান, তখন সেই মহব্বত ও ভালবাসা তাদের প্রয়োজন হয়। তবে যেসকল শিশু ও যুবকরা বড় হয়েছে, তারা কখনও কখনও তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভালবাসা তাদের বাবা-মাকে ফিরিয়ে দিতে অথবা প্রকাশ করতে পারে না।

মহান আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলেছেন: যারা পিতা-মাতাকে সুরক্ষা দিয়েছেন তারা ব্যতীত অন্য কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

এমন যেন না হয় যে, তারা যেকোনো কথা বলুক না কেন, সেগুলো সহ্য করবেন অথবা তাদের কথা থেকে শুধুমাত্র উত্তম কথা শুনবে। যদি তাদের সাথে আপনার মতবিরোধ হয়, তাহলে সেই প্রসঙ্গটি অত্যন্ত বিনয়ী ও নম্রতার সাথে তাদের সম্মুখে তুলে ধরুন। বিশেষত যখন তারা বৃদ্ধ হবে তখন তাদের সাথে বিনয়ের সাথে কথা বলুন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে:

۞ وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِنْدَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَهُمَا أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لَهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا

তোমার প্রতিপালক নিশ্চিত বিধান প্রদান করেছেন যে, তাঁকে ব্যতীত অন্য কারও উপাসনা করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে সদাচার করবে; যদি তাঁদের মধ্যে একজন বা উভয়েই তোমার সম্মুখে বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তাঁদেরকে ‘উফ্’ (ন্যূনতম অসম্মানজনক কথা) পর্যন্ত বলবে না, আর তাদের ধমক দিয়ে (ও ভর্ৎসনা করে) তাড়িয়ে দিও না এবং তাদের সাথে সম্মানসূচক (মমতাপূর্ণ) কথা বলবে। -সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত ২৩

কারণ তারা (পিতা-মাতা) যখন যুবক ছিল এবং আপনি তাদের সাথে নির্দয় ও অসম্মানজনক আচরণ করেছেন, সেগুলো তারা সহ্য করছেন। হয়েছিল তখন তারা বৃদ্ধ বয়সে সহনশীল হলেও কম সহনশীল ছিল। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষের ধৈর্যক্ষমতা ও সহনশীলতা হ্রাস পাই। আর একারণে বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পর পিতা-মাতার সহনশীলতা কমে যায়। এমনি যদি বৃদ্ধ নাও হয়, তাহলেও তাদের সাথে অসম্মানজনক আচরণ করার অধিকার আপনার নেই। যদি কেউ এমন আচরণ করে তাহলে তার এই কর্ম কাবিরা গুনাহের সামিল হবে।

আর একারণে মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন: “তোমাদের পিতা-মাতার অধিক ভালবাসা ও শ্রদ্ধার প্রয়োজন রয়েছে। iqna

 

captcha