IQNA

ইমাম মাহদীকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হয় কেন

18:52 - May 23, 2018
সংবাদ: 2605822
পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আল্লাহর ছাড়া কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না। আর সেই সবই কেবল বিদ্যমান থাকবে যা আল্লাহর সাথে মিশে একাকার হয়ে গেছে।«كُلُّ شَيْءٍ هَالِكٌ إِلَّا وَجْهَهُ »



শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: বাকিয়াতুল্লাহ শব্দটি পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ। অন্যদের বলা হয়েছে একমাত্র আল্লাহ চেহারা ব্যতীত সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। সুতরাং যার সাথে আল্লাহর অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান কেবলমাত্র তারাই টিকে থাকবে।

আয়াতটিকে দুইভাগে তাফসীর করা যায় একটি হচ্ছে আল্লাহর চেহারা ছাড়া সবই নাবুদ হয়ে যাবে। আরেক ভাবে অর্থ করা যায় যার অর্থ হচ্ছে: প্রতিটি জিনিসই নাবুদ হয়ে যাবে কিন্তু তার চেহারা বিদ্যমান থাকবে।

প্রতিটি জিনিসের দুইটি চেহারা আছে একটি ব্যক্তিগত ও নিজস্ব আরেকটি হচ্ছে ঐশী ও খোদায়ী। ব্যক্তিগত চেহারা যেহেতু নির্ভরশীল তাই তা নাবুদ হয়ে যাবে। আর ঐশী চেহারা বিদ্যমান থাকবে।

সুতরাং ঐশী চেহারা নাবুদ হবে না। আর ইমাম মাহদী যেহেতু আল্লাহর চেহারা এবং আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ। সুতরাং তিনি কখনোই নাবুদ হবেন না। তিনি সর্বদা বিদ্যমান থাকবে।

সুতরাং নবী এবং ইমামগণের বাহ্যিক মৃত্যু হলেও তারা জীবিত। কেননা তারা আল্লাহর সাতে মিশে গেছেন। অন্যদিকে যারা কাফির মুশরিক এবং গোনাহগার তারা জীবিত থেকেও মৃত্যু। তাদের কোন নাম নিশানা বাকি থাকবে না।

আর ইমাম মাহদী যেহেতু সর্বদা আছেন এবং থাকবেন সেই জন্যই থাকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হয়।

captcha