বার্তা সংস্থা ইকনা: উক্ত মাহফিলে ইরানের খ্যাতিনামা ক্বারিগণ উপস্থিত ছিলেন। তেহরানে স্থানীয় সময় ১৭:৩০ টায় শুরু হয়েছে।
মাহফিলে সর্বপ্রথম কুরআন তিলাওয়াত করেন মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত ৬০তম আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় ৬ষ্ঠ স্থানে উত্তীর্ণ মোখতার দেহকান। তিনি আলে ইমরান সূরার ১১৮ নম্বর আয়াত থেকে তিলাওয়াত শুরু করেন। এছাড়াও সূরা নাসর তিলাওয়াত করেন।
এরপর কুরআন তিলাওয়াত করেন আলী রেজা মাসিহীপুর, মাহদী এবরাতী, মুহাম্মাদ হুসাইন সায়িদিয়ান এবং সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ জাওয়াদ হুসাইনী কুরআন তিলাওয়াত করেন।
উক্ত মাহফিলে সর্বোচ্চ নেতা তার সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় শত্রুদের কবল থেকে চূড়ান্তভাবে ফিলিস্তিন মুক্ত করার ব্যাপারে বলেন: শত্রুদের কবল থেকে চূড়ান্তভাবে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে এবং বাস্তবতা পাল্টে দেয়ার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়তুল মুকাদ্দাস হবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী।
সর্বোচ্চ নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ আল-উজমা খামেনেয়ী বলেন, আমেরিকা এবং অন্য শত্রুদের কবল থেকে ফিলিস্তিন মুক্ত হবে ইনশাল্লাহ এবং এসব ভাঁড় নিশ্চিত ঐশী ব্যবস্থার মুখে টিকতে পারবে না।
গত সোমবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইল যে গণহত্যা চালিয়েছে তার কঠোর নিন্দা করেন সর্বোচ্চ নেতা। সোমবারের বর্বর হামলায় অন্তত ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৩,০০০ আহত হয়েছেন। সোমবারের রক্তাক্ত ঘটনাবলীর মধ্যদিয়েই পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস শহরে মার্কিন সরকার তাদের দূতাবাস উদ্বোধন করে।
এ সম্পর্কে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “অনেকে অভিযোগ করেন, এমন ঘটনার পরও কেন ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় না আমেরিকা। তার কারণ হচ্ছে- আমেরিকা ও বহু পশ্চিমা দেশ এই অপরাধযজ্ঞে সহযোগিতা করে থাকে।”
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের মুখে পবিত্র কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী মুসলিম উম্মাহ ও মুসলিম সরকারগুলো কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য। তিনি বলেন, “পবিত্র কুরআন আমাদেরকে বলছে ধর্মের বিষয়ে শত্রুদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে এবং নিজেদের মধ্যে দয়ামায়া প্রতিষ্ঠা করতে কিন্তু বর্তমানে কুরআন থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণে আমরা মুসলমানদের মধ্যে যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অনৈক্য দেখছি এবং কাফেরদের কাছে নতিস্বীকার করতে দেখছি।”
iqna